পূর্বকথাঃ ফুকুশিমার নিউক্লিয়ার বিপর্যয়ের পর ডিজাস্টার রেস্পন্স রোবটের চাহিদা বেড়ে গেছে। এর আগে হিয়ম্যানয়েড রোবট নিয়ে খুব কম আগ্রহ দেখিয়েছিলেন রিসার্চাররা। অনেকটা এন্টারটেইনমেন্টই হিয়ম্যানয়েড এর ব্যবহার সীমিত অথবা বাসা বাড়ি শপিং মল গুলোই এর একমাত্র এপ্লিকেশন, এমন ধারনাটা ই পোক্ত ছিল। ধারনাটা পালটে যায় জাপানের নিউক্লিয়ার বিপর্যয়ের পর। একটা চুল্লী বন্ধ করতে পারলে অনেক খানি ধস কমানো যেতো এরকমই বলেছিলেন প্রতক্ষ্যদর্শীরা। কিন্তু ভঙ্গুর প্ল্যান্টে নিউক্লিয়ার রেডিয়েশনের মাঝে ঢুকে চুল্লির একটা কন্ট্রোল ভাল্ভ ঘুড়িয়ে দিয়ে আসবে কে?
‘আসিমো’, ১৪ বছর ধরে তৈরী হোন্ডার রোবট, এধরনের কাজের জন্য প্রস্তুত ছিল না। কারন আসিমো কেবল প্লেন সার্ফেসেই হাটতে সক্ষম। তখন থেকেই সারা বিশ্বে হিয়ম্যানয়েড রোবট ডিজাস্টার রেস্পন্স রোবট হিসেবে রিসার্চারদের মাঝে জনপ্রিয়তা পায়। কারন এধরনের সিচুএশনে হিউম্যানয়েড ই সবচেয়ে উপযুক্ত। হাটা, ভাঙ্গা ইট/ ওয়াল পেরিয়ে যেতে সক্ষম, অবস্টাকল এড়ানো, মই বাওয়া, সিড়ি বাওয়া, গাড়ি চালানো, টুল হ্যান্ডেলিং, ভাল্ভ ওপারেশন, হামাগুড়ি তথা টার্গেট প্লেসটায় যে কোনো মূল্যে রিচ করতে মানুষ টাইপ রোবট ই সবচেয়ে এফেক্টিভ।
এঘটনার পরই এই কন্টেস্ট এর এনাওন্স করে ডারপা। ডারপা হলো আমেরিকার Defense Advanced Research Projects Agency । এই প্রতিযোগীতায় ৮ টি টাস্ক পারতে হবে এরকম রোবট বানাতে হবে বলে জানানো হয়। মাত্র কিছুদিন আগে, ডিসেম্বরের ২০-২১ তারিখে এটি অনুষ্ঠিত হল ফ্লোরিডাতে। ১৬ টি দল এতে অংশ গ্রহন করে। প্রতিযোগীতায় প্রথম হয় জাপানের একটি দল। অনেক প্রত্যাশা থাকলেও কাইস্টের (KAIST- South korea) এর তৈরী HUBO হয়েছে ১১ তম 😀 ।
বিস্তারিত http://www.theroboticschallenge.org/