রিহ্যাব বললে আমরা অবশ্য ড্রাগ ছাড়ার বিষয়টা বুঝি
Rehabilitation শব্দটা ভেঙ্গে যা বুঝি, Re অর্থাত আবার, habitare, অর্থাত “make fit.” তবে ”শব্দ” টা অনেকটা এরকম অর্থে ব্যবহার হয়, কোনো দুর্ঘটনা বা অপারেশন জনিত কারনে আমাদের শারিরীক প্রতিবন্ধকতা দূর করে নরমাল অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রসেস। তো বোঝা গেল যে, Rehabilitation বলতে আসলে physical disabilities থেকে নরমাল স্টেজে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বা কিছুটা ভালো অনুভব করার বিদ্যাকে বুঝায়। Rehabilitation এর কথা বললেই আরও যে কয়েকটা শব্দ চলে আসে, বায়োমেডিক্যাল, বায়ো মেকানিক্স, রোবটিক প্রসথেসিস, অরথসিস (prosthesis- আর্টিফিসিয়াল হাত পা প্রতিস্থাপন কে বলে) (অরথসিস হল আমাদের শরীরের এর কোনো বাইরের অংশের জন্য বানানো কোন যন্ত্র/এটাচ মুভিং পার্ট যেটা আমাদের স্কেলেটাল মোশনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন অথবা স্কেলেটাল মোশন কে সঠিক মুভমেন্ট দিতে সাহায্য করে এমন কিছু, চিত্র দেখুন) সাইকোলজি, মেডিটেশন, মেন্টাল হেলথ নিউরোবিজ্ঞান অনেকাংশে জড়িত এই বিদ্যায় ।
চিত্রঃ প্রস্থেটিক লেগ
চিত্রঃ ডেকা আর্ম
চিত্রঃ ইন্টেলিজেন্ট হুইলচেয়ার ও রোবটিক হ্যান্ড যা মানুষের হাত টার অনুকরন করছে, কিছু সিগন্যাল নিয়ে
Physical disability অনেক রকম হতে পারে। সরাসরি হাত পা প্রতিস্থাপন ছাড়াও, হাটা চলা নরমাল গেইট ফিরিয়ে আনা(GAIT enhancing shoe), হতে পারে মুখে মার্বেল রেখে তোতলামি দূর করা 😀 , ব্রেইন ইন্টারফেস থেকে সিগন্যাল নিয়ে কোনো কিছুর একচুয়েশন–> হাত বা পা, অথবা অন্য কোন অব্জেক্ট কে মুভ করানো, সম্পূর্ন নড়তে অক্ষম ব্যাক্তির ইচ্ছা মত হুইল চেয়ার চালানো অন্য কোনো নিয়ন্ত্রন ছাড়া। তবে Rehabilitation শুধু ফিজিক্যাল একচুএশন এ আটকে নাই। বর্তমানে এই ফিল্ডের গবেষনা আরো অনেক ব্যাপক ।
ইউ এস এফ (USF)এর এই গবেষনার ভিডিও টি দেখুন
খুব অবাক হয়েছেন? আসলে অবাক হওয়ার কিছু নাই। ব্রেইন ইন্টারফেসিং নিয়ে কিছু লিখেছি এখানে।
চিত্রঃ ব্রেইন ইন্টারফেসিং EasyCap
ব্রেইন ইন্টারফেসিংঃ BCI- Brain Computer interfacing
আমরা যখন কোনো কিছুর দিকে তাকাই, পলক ফেলি, অথবা ডান বায়ে ওপরনিচ চোখ সরাই (কিছুটা ভিজুয়াল ইনপুট) অথবা কোনো কিছু চিন্তা মগ্ন/ অবসন্ন, দুঃখ, আনন্দ, রাগ করি, এগুলা সবগুলা ঘটনাই আমাদের মস্তিস্কে কিছু পরিবর্তন ঘটায়। এই পরিবর্তন গুলা measure করা হয় কিছু মেথড এ। EEG-electroencephalography, NIRS-Near Infrared Spectroscopy এরকম ই কিছু পরিচিত গবেষনা যেগুলো প্রতিনিয়ত হচ্ছে ব্রেইন এর ওপর।
আমাদের কাজকর্ম, মোশন, চিন্তা বা আবেগে আমাদের নিউরনের এক্টিভিটি পাল্টায়।
নিউরনের আয়োনিক ফ্লো এর জন্য যে বিভব (voltage) এর পরিবর্তন হয়, তা Measurement হল EEG।
আর Near Infrared Spectroscopy একধরনের ইমেজিং টেকনিক যেটা low energy radiation দিয়ে ব্রেইন টিস্যুর absorption change গুলো বের করে। These absorption changes reflect changes in the local concentration of oxy- and deoxyhaemoglobin, which in turn are related to and triggered by the alteration of neural activity.
এই EEG-NIRS থেকে সিগন্যাল গুলো দিয়ে একজন মানুষের ‘নির্দিষ্ট কাজের –> যেমন ডানে তাকানো’ জন্য তার ব্রেইন এক্টিভিটি বের করা যায়। পরে ওই এক্টিভিটি কে কোনো একচুএশন ডিসিশন হিসেবে নেয়া যায় রোবটিক আর্ম বা অন্য কিছুতে। কখনো কখনো ব্রেইন সিগ্ন্যাল এর সাথে চোখের পাতা, মনি এগুলার মুভমেন্ট আরো ভালো ভাবে বোঝার জন্য ক্যামেরাও ব্যবহার হয়।
এছাড়াঃ
হার্ট এ পাম্প প্রতিস্থাপন, রিং পড়ানো এগুলা সরাসরি Rehabilitation নামে পরিচিত নামে পরিচিত না, এগুলা নিয়েও প্রচুর কাজ হচ্ছে। হ্যাপ্টিক রিইয়েলাইজেশন, স্ট্রোক, ব্লাড প্রেশার এই মেজারমেন্ট গুলা নিয়ে বিহেভিয়ার এনাইলাইস হচ্ছে, নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে।
চিত্রঃ হাত ও পা এর প্রেশার পয়েন্ট এর ডিটেইল
তো আমরা দেখলাম Rehabilitation শব্দটা শুধু শাব্দিক অর্থে আটকে নেই। গবেষনার ব্যাপ্তিও অনেক।
আরো কত গবেষনা হচ্ছে! কোনো শেষ নেই। আপনি ও শুরু করতে পারেন যেকোনো গবেষনা, সেটা যে উন্নত দেশ গুলার মতই যে হতে হবে, এরকম ভাবলে বোকামি করছেন। গবেষনার জন্ম হয় সমস্যা থেকে। আমাদের সমস্যা আমাদের কেই মিটাতে হবে।